সম্রাট জালাল উদ্দিন আকবর (১৫৫৬-১৬০৫)

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - সাধারণ জ্ঞান - বাংলাদেশ বিষয়াবলী | NCTB BOOK
1.3k
Summary

ভারতের শ্রেষ্ঠ শাসক আকবর ১৫৫৬ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে শাসনভার গ্রহণ করেন।

বি.হিমু দিল্লি দখল করলে, আকবরের প্রধান সেনাপতি বৈরাম খান পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধে হিমুকে পরাজিত করে দিল্লি শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। আকবর ১৫৬০ সালে পূর্ণ ক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং বাংলা ও অন্যান্য অঞ্চলে মুঘল শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।

  • বাংলার মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা: ১৫৭৬ সালে রাজমহলের যুদ্ধ জয়ে।
  • আবুল ফজল: আকবরের সভাকবি, আইন-ই-আকবরী রচয়িতা।
  • রাজস্ব মন্ত্রী: টোডরমল।
  • রাজসভায় বিখ্যাত কৌতুককার: বীরবল।
  • প্রাদেশিক শাসক: সুবেদার।

আকবর সম্পর্কে কিছু উল্লেখযোগ্য সংস্কারমূলক অবদান:

  • "দ্বীন-ই-ইলাহী" ধর্মের প্রবর্তন (১৫৮২)।
  • মনসবদারি প্রথার প্রচলন (১৫৭৭)।
  • রাজপুত নীতি (১৫৬২)।
  • বাংলা সনের প্রবর্তন (১৫৫৬)।
  • জিজিয়া কর ও তীর্থকর বাতিল।
  • ফতেহপুর সিক্তি নির্মাণ।
  • অমৃতসারের স্বর্ণমন্দির নির্মাণ।

আকবর ১৬০৫ সালে মৃত্যু বরন করেন এবং তাঁর সমাধিস্থল সেকেন্দ্রায় অবস্থিত।

ভারতবর্ষের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক ১৫৫৬ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে আকবর ভারতের শাসনতার গ্রহণ করেন। ১৫৫৬ সালে হিমু দিল্লি দখল করে নিলে বৈরাম খান (আকবরের প্রধান সেনাপতি) পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধে হিমুকে পরাজিত করে দিল্লি অধিকার করেন। আকবর | বৈরাম খানকে খান-ই বাবা বলে ডাকতেন। বৈরাম খানের তত্ত্বাবধানে তিনি সময় দক্ষিণ এশিয়ার সাম্রাজ্য বিস্তার করেন। ১৫৬০ সালে আকবর পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা গ্রহন করেন।

জেনে নিই

  • মুঘল সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ সম্রাট ছিলেন সম্রাট আকবর।
  • আকবর দিল্লির সিংহাসনে বসেন ১৩ বছর বয়সে।
  • বাংলার মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন ১৫৭৬ সালে।
  • ১৫৭৬ সালের রাজমহলের (ঝাড়খন্ড) যুদ্ধ জয়ে বাংলায় মুঘল শাসন শুরু।
  • আবুল ফজল ছিলেন- সম্রাট আকবরের সভাকবি।
  • আইন-ই-আকবরী গ্রন্থের রচয়িতা- আবুল ফজল।
  • দেশবাচক বাংলা শব্দের প্রথম ব্যবহার হয় আইন-ই-আকবর গ্রন্থে।
  • সম্রাট আকবরের আমলে সমগ্র বঙ্গদেশ 'সুবহ-ই-বাঙ্গালাহ' নামে পরিচিত।
  • আকবরের রাজসভার গায়ক ছিলেন তানসেন ।
  • সম্রাট আকবরের রাজস্ব মন্ত্রী ছিলেন টোডরমল।
  • আকবরের রাজসভায় বিখ্যাত কৌতুককার ছিলেন বীরবল।
  • প্রাদেশিক শাসনকর্তাকে বলা হতো সুবেদারকে।
  • আকবর প্রবর্তিত মনসবদারি প্রথা হল সেনাবাহিনী সংস্কার পরিকল্পনা।
  • আকবর মৃত্যুবরণ করেন ১৬০৫ খ্রিস্টাব্দে, আকবরের সমাধিস্থল অবস্থিত সেকেন্দ্রায়।

সম্রাট আকবরের সংস্কারমূলক অবদান

  • "দ্বীন-ই-ইলাহী' ধর্মের প্রবর্তন (১৫৮২)
  • ‘মানসবদারি’ প্রথার প্রচলন (১৫৭৭)
  • রাজপুত নীতির প্রবর্তন (১৫৬২)
  • বাংলা সনের প্রবর্তন (ইংরেজি-১৫৫৬)
  • জিজিয়া কর ও তীর্থকর রহিত করেন।
  • ফতেহপুর সিক্তি নির্মাণ করেন।
  • অমৃতসার স্বর্ণমন্দির নির্মাণ করেন।
Content added By
Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...